AlokitoBangla
  • ঢাকা শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ১৪ আশ্বিন ১৪৩০
banner

উল্লাপাড়ার অধিকাংশ এলাকায় রোপা আমনে অজ্ঞাত পোকার আক্রমন। বালাই নাশকেও কাজ হচ্ছেনা


FavIcon
মোঃ শামছুল হক,উল্লাপাড়া(সিরাজগঞ্জ)প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৩, ০৯:৩০ পিএম
উল্লাপাড়ার অধিকাংশ এলাকায় রোপা আমনে অজ্ঞাত  পোকার আক্রমন। বালাই নাশকেও কাজ হচ্ছেনা
উল্লাপাড়ার অধিকাংশ এলাকায় রোপা আমনে অজ্ঞাত পোকার আক্রমন। বালাই নাশকেও কাজ হচ্ছেনা

উল্লাপাড়ার মাঠে মাঠে  রোপা আমণে অজ্ঞাত পোকার আক্রমন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।

কিটনাশক দিয়েও দমন করা যাচ্ছেনা এসব পোকা মাকড়। 

বিভিন্ন কোম্পাণীর কিটনাশক ব্যবহার করেও ফল পাচ্ছেন না কৃষকরা। 

নিরুপায় হয়ে অনেকে ধানের আশা ছেড়েই দিয়েছেন। কেউ কেউ  আবার ধান ক্ষেতে গাছের ডাল, বাশের কন্চি পুতে পাখি বসার ব্যবস্থা করেছেন।এসব  পাখি পোকা মাকড় ধরে ধরে খায়। সমস্যা হলো পাখিরা বাইরের বা  উড়ন্ত পোকা মাকড় ধরে ধরে খেলেও গাছের ভিতরে যে সব কীটপতংগ থাকে তা পাখির অগোচরেই থেকে যায়। উপজেলার দুর্গানগর,পন্চক্রোশি,বাংগালা, পুর্ণিমাগাতি, রামকৃষ্ঞপুর বড় পাংগাশি সহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের

কয়েক জন কৃষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা প্রথম বার এক কোম্পাণীর কীটনাশক ব্যবহার করে কোন ফলাফল না পেয়ে পরে অন্য কোম্পাণীর কিটনাশক ব্যবহার করেও আশানুরুপ ফল  পাননি। শেষে ঐ ফসলের আশা তারা ছেড়েই দিয়েছেন। জমিতে ধান উৎপাদনে যে খরচ হয়  মুল্য বৃদ্ধির কারনে তার  ১/৪ অংশ খরচ হয় কিটনাশক বাবদ। এমন পরিস্থিতিতে দিশেহারা কৃষক। 

অন্যদিকে এ মৌসুমে ইদুরের উপদ্রব অতিমাত্রায় বেড়ে যায়। ইদুর সরাসরি ধানগাছের গোড়া কেটে দেয়। পানিতে বসবাসকারী ইদুরের আক্রমনে উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে থাকে।

প্রতিবছর ইদুর দমন অভিযানে সরকার কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে থাকে। বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে এ টাকা ব্যয় করা হলেও সিংহভাগ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয় বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনকে। 

এ জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের মাঠ পরিদর্শণের দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্তু কৃষি অফিসার যারা থাকেন তারা বছরে একবারও সরেজমিনে  মাঠ পরিদর্শণ করেন কিনা তা নিয়ে মানুষের বিস্তর অভিযোগ আছে। কৃষি বিষয়ক পরামর্শ চাইতে গেলে বি এস ( ব্লক সুপারভাইজার) যারা থাকেন তারা কমিশনের আশায় নিম্ন মানের কোম্পাণীর  কীটনাশকের প্রেসক্রিপশন করে থাকেন। 

এর মধ্যে এমন কিছু ইন্ডিয়ান কীটনাশকও আছে যাতে তাৎক্ষনিক ফলাফল পাওয়া গেলেও তার ক্ষতি সুদুরপ্রসারী। সুনাম এবং কমিশন বাণিজ্যের  জন্য তারা এসব ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। 

এরকম কীটণাশক ব্যবহারের কারনে অনেক প্রজাতীর পশু পাখি,জীবজন্তু এবং  উপকারি কীটপতংগ আজ বিলুপ্তির পথে।এর মধ্যে  উল্লেখযোগ্য হলো ব্যঙ এবং কেচো। কেচোকে প্রকৃতির লাংগল বলা হয়ে থাকে। 

এমন পরিস্থিতিতে দেশের খাদ্য চাহিদা মেটাতে এবং প্রধান খাদ্যশস্য ধানের উৎপাদন বাড়াতে কৃষি বিভাগ সহ সকলের  সমন্বিত উদ্দ্যোগ গ্রহণ জরুরী। 

Banner
Side banner

সারাদেশ বিভাগের আরো খবর

Small Banner
Side banner