AlokitoBangla
  • ঢাকা শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ১৪ আশ্বিন ১৪৩০
banner

১১ কোটি টাকা ব্যয়ে ২টি ড্রেন নির্মিত হলেও তা কাজে আসছে না রায়গঞ্জ পৌরবাসির!


FavIcon
এম দুলাল উদ্দিন আহমেদ, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৩, ১০:১৪ এএম
১১ কোটি টাকা ব্যয়ে ২টি ড্রেন নির্মিত হলেও তা কাজে আসছে না রায়গঞ্জ পৌরবাসির!
১১ কোটি টাকা ব্যয়ে ২টি ড্রেন নির্মিত হলেও তা কাজে আসছে না রায়গঞ্জ পৌরবাসির!

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ পৌরসভার  উন্নয়নে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণ করা হলেও তা এখন বড় দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পৌরসভার জন্য।  অপরিকল্পিত ও অনিয়মের মধ্যদিয়ে পৌর শহর উন্নয়নে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের বাংলাদেশের ৩০ পৌরসভায় স্যানিটেশন ও পানি সরবরাহ প্রকল্পের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে রায়গঞ্জ পৌর শহর  ৩৪০০ মিটার আরসিসি ড্রেনের জন্য ১০ কোটি ৮০ লাখ টাকার বরাদ্দ হয়। প্রকল্পে ১০টি ড্রেন নির্মাণ করার কথা থাকলেও তার মধ্যে ৬ শত ২০ মিটারের দুইটি ড্রেন নির্মান করা হয়েছে। ড্রেন দুটি নির্মান করলেও কাজে আসছেনা পৌরবাসির। 

সরেজমিনে দেখা যায়,রায়গঞ্জ পৌর সভার ২ নম্বর ওর্য়াডের উপজেলা পশু হাসপাতাল থেকে থানার সামনে দিয়ে রায়গঞ্জ বাজার পর্যন্ত ৬২০ মিটারের ২টি আরসিসি ড্রেন তৈরি করে হাসান টেকনো এন্ড ইডেন প্রাইজ(জেবি) ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। পানি নিস্কাশনের জন্য  ড্রেন তৈরি করা হলেও রাস্তার পানি নিস্কাশন হচ্ছে  না। কারণ রাস্তার চেয়ে ড্রেনের উচ্চতা দুই  থেকে তিন ফুট বেশী। একটু বৃষ্টি হলে দিনে পানি জমে মশা মাচির উপদ্রব বেড়ে জনগণের চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। ড্রেন দুটি রাস্তা থেকে উঁচু হওয়ায় অল্প বৃষ্টিতেই রাস্তায় পানি জমে থাকে। অপরদিকে পানি বের হওয়ার কোন জায়গা না থাকার কারণে ড্রেনের উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে এলাকার লোকজন ও শিক্ষর্থীরা। 

পৌর এলাকার কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান,বাড়ি থেকে বের হয়ে স্কুলের চলাচলের রাস্তায় কাদা পানি জমে থাকায় ড্রেনের উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। 

পৌর এলাকার বাসিন্দা অমল কৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, অপরিকল্পিতভাবে ড্রেন নির্মাণ এবং রাস্তায় চেয়ে দুই থেকে তিন ফুট ড্রেন উঁচু হওয়ায়।  অল্প বৃষ্টিতে সড়কে পানি জমে থাকে।  যাতায়াত দুর্ভোগ ছাড়াও রাস্তায় জমে থাকা পানি পচে দুর্গন্ধ ও মশা- মাছির উপদ্রব বাড়ছে। তারা আরো বলেন, এই ড্রেন নির্মাণ এর আগে রাস্তায় চলাচল করা যেত। এখন রাস্তায় আরো জলাবদ্ধ হয়ে থাকে। 

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক বিদেশে থাকায় তার ম্যানেজার হারুন জানান, আমাদের হাতে কোনো ফান্ড না থাকার কারণে অপাতত কাজ বন্ধ আছে। 

রায়গঞ্জ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে প্রকল্পের কাজ না করার কারণে টেন্ডার বাতিল হওয়ার পথে।  

রায়গঞ্জ পৌর মেয়র আব্দুল্লাহ আল পাঠান জানান,এ প্রকল্পে কাজ বাস্তবায়ন করছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ। কাজ শেষ হলে আমার কাছে  হস্তান্তর করবে তারা। এ কাজের বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই।

Banner
Side banner

সারাদেশ বিভাগের আরো খবর

Small Banner
Side banner