পাবনার গণপূর্ত ভবনে অস্ত্র হাতে মহড়া দেওয়া আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের সেই দুই নেতা তাদের লাইসেন্স করা শটগান দুটি থানায় জমা দিয়েছেন। সদর থানায় শনিবার রাতে উপস্থিত হয়ে অস্ত্র দুটি জমা দেন তারা।এ সময় করা জিডিতে তারা উল্লেখ করেন, ব্যক্তিগত কাজে জেলার বাইরে থাকবেন বলে অস্ত্র দুটি জমা দিয়েছেন।ওই দুই নেতা হলেন পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এআর খান ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ লালু।বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহম্মেদ বলেন, তারা লিখিত আবেদন করলে তা নথিভুক্ত করে শটগান দুটি জমা নেওয়া হয়।এ ব্যাপারে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মাসুদ আলম বলেন, গণপূর্ত ভবনে অস্ত্র নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। তবে বৈধ হলেও অস্ত্র নিয়ে সরকারি অফিসে মহড়া দেওয়া আইনের পরিপন্থী। কাজেই বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে অস্ত্র দুটির লাইসেন্স বাতিলের জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হবে।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসবি) স্নিগ্ধ আখতার বলেন, অস্ত্র হাতে তারা এত লোক নিয়ে কেন সরকারি অফিসে গেলেন- পুরো ঘটনাটি সদর থানার পক্ষ থেকে তদন্ত করা হচ্ছে।জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুল আহাদ বাবু বলেন, আমাদের জানামতে, নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে দলের ওই দুই নেতার হাতে অস্ত্র ছিল। এতে কোনো খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না। অথচ বিষয়টি ঘোলা করার চেষ্টা করছে একটি চক্র। ঘটনাটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত করছে। তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে কোনো দোষ প্রমাণ হলে দলের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।৬ জুন দুপুরে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ফারুক হোসেন তার লোকজন নিয়ে জেলা গণপূর্ত ভবনে যান। তার পেছনে শটগান হাতে ছিলেন ওই দুই নেতা। ভবনের সিসিটিভির একটি ফুটেজ শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে প্রশাসন ও দলের মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। কিছু ঠিকাদার অভিযোগ করেন, ঠিকাদারি কাজের সুবিধা পেতেই আওয়ামী লীগ নেতারা এ মহড়া দিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :