উজানের ঢল ও প্রবল বর্ষনে সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে এবং ডুবে গেছে পাটসহ নানা ফসলী জমি।গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি ৩৬ সেঃ মিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (হেডকোয়ার্টার) জাকির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, কয়েকদিন ধরে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বিশেষ করে সিরাজগঞ্জের সদরের ১০টি ইউনিয়নের নিম্মাঞ্চলের পাচঠাকুরী, শিমলা,দিয়ারপাচিল, ব্রক্ষবয়ড়া, খোকশাবাড়ি, তেতুলিয়া, চুনিয়াহাটি, চাকলী, পঞ্চসোনা, চরসয়দাবাদ, ফুলবাড়ি, মোহনপুর, বেলুটিয়াসহ প্রায় ২২টি গ্রাম পানিতে নিমজ্জিত। অপরদিকে কাজিপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর, চৌহালী ও সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নিম্নাঞ্চল ডুবে গেছে। এসব এলাকার চরাঞ্চলের পাট বাদাম তিলসহ বিভিন্ন ফসল ডুবে গেছে এবং নদী তীরবর্তী বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙনও দেখা দিয়েছে। এ ভাঙনে ঘরবাড়ি, ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এনায়েতপুরসহ অনেক স্থানে এ ভাঙন রোধে স্থানীয় পাউবো বালুর বস্তা নিক্ষেপ করছে। এছাড়া যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বিশেষ করে শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলার নিম্নাঞ্চল বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। যমুনা নদীর পানি ক্রমাগতভাবে বাড়লেও বর্তমানে বিপৎসীমার ৩৯ সেঃ মিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এভাবে বর্ষণ ও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এছাড়া ভাঙন রোধে বিপুল পরিমাণ জিও ব্যাগ প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং আরো জিও ব্যাগের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। বাঁধসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে নজরদারী রাখা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আপনার মতামত লিখুন :