মেছড়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের কেচুয়াহাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ প্রায় অর্থ শতাধিক বাড়িঘর ফসলি জমি রাস্তাঘাট নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।স্থানীয়রা জানান-সিরাজগঞ্জে অবিরাম বর্ষণে যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সদর উপজেলার মেছড়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের কেচুয়াহাটা ও মাটিকোড়া এলাকায় ভাঙ্গন শুরু হয়। যমুনার কড়াল গ্রাসে গত এক সপ্তাহে ওই এলাকার কেচুয়াহাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ প্রায় অর্থ শতাধিক ঘরবাড়ি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায়। নদী গর্ভে বিলিন হওয়া পরিবারগুলো মাথা গোজার ঠাইসহ অনাহারে অর্ধাহারে দিন কালাতিপাত করছে।ভাঙ্গণের কবলে ক্ষতিগ্রস্থ মো.আমজাদ হোসেন(৫৫) জানান- যমুনার ভাঙ্গণের কবলে পড়ে নিঃম্ব হয়ে পথে বসার উপক্রম। একবার নয় দুইবার নয় চারবার রাক্ষাসী যমুনা বাড়িঘর ফসলী জমি এক তিলিকের মধ্যে গ্রাস করে নিয়েছে। পরিবার পরিজন নিয়ে অসহনীয় যন্ত্রনায় দিন কাটাচ্ছি। আমরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকারের সহযোগীতা দাবী জানাই।ভাঙ্গন কবলিত ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আয়নাল হক জানান- বন্যার ভাঙ্গন আর কতকাল সহ্য করবো। একে একে চারবার যমুনা কেড়ে নিল জীবনের সমস্ত কিছু। ধৈয়্যধারন করার মত আর শক্তি নেই। তিনি আরো বলেন- নিজের কধা বাদ দিলাম এলাকার দুঃস্থ অসহায় মানুষগুলো সয়স্ম¦ল হারিয়ে নিরুপায় হয়ে সরকারী সহযোগীতা পাবার আশায় দিন গুনছে। কেচুয়াহাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন- গত শনিবার আমাদের স্কুল নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায়। এর আগে এলাকারাসির সহযোগীতায় স্কুল ঘরের টিন আসবাবপত্র অন্যত্র সরিয়ে রাখা হয়েছে। তিনি অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা চালু রাখতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সহযোগীতা কামনা করেছেন।এ বিষয়ে মেছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মজিদ জানান, চরাঞ্চলের মানুষ প্রতিনিয়ত কষ্টে দিন কাটান। এর পরেও একাধিকবার যমুনার ভাঙ্গনে দুঃস্থ অসহায় মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে দাড়াতে দানশীল বিত্তবান, এনজিও,সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :