AlokitoBangla
  • ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
banner

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের হাতে চার সাংবাদিক লাঞ্ছিত, থানায় অভিযোগ


FavIcon
পাবনা,প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২, ০৯:০৬ পিএম
পাবনার ভাঙ্গুড়ায়  ইউপি চেয়ারম্যানের হাতে চার সাংবাদিক লাঞ্ছিত, থানায় অভিযোগ
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের হাতে চার সাংবাদিক লাঞ্ছিত, থানায় অভিযোগ

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক টুকুনের বিরুদ্ধে চার সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।হামলায় মানবকন্ঠ পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি ও ভাঙ্গুড়া প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী আহত হন। এ সময় ওই সাংবাদিকের মুঠোফোন ছিনিয়ে নেন ইউপি চেয়ারম্যান।

রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর ( দুপুরে ওই ইউপি চেয়ারম্যানের নিজস্ব কার্যালয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সাংবাদিক রায়হান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক মাস আগে সদর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের রবিউল করিম ও সোহেল রানার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মারামারির বিষয়ে গত শুক্রবার স্থানীয় ইউপি সদস্য আঃ আলীমের বাড়িতে সালিশ করেন ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক।

সালিশে রবিউল করিমের ছেলে রনি ও জনি নামে দুই যুবককে দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুতের খুঁটির সাথে বেঁধে রাখেন। পরে রবিউল করিমকে ৮ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার টাকা দিতে পারবেন না বললে তাদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেন চেয়ারম্যান। এ ঘটনায় রবিউল ইসলাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর রবিবার একটা লিখিত অভিযোগ করেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক টুকুন, ইউপি সদস্য আলীম, সাবেক সদস্য শফি ম্যানেজার, আঃ কালাম আজাদ, হাসু মাস্টার, মুকুল হোসেন, নুরাল, জাবেদ আলী।

এদিকে এ ঘটনায় তথ্য সংগ্রহের জন্য রবিবার সকালে ভবানীপুর গ্রামে যায় মানবকন্ঠ পত্রিকার প্রতিনিধি রায়হান আলী, আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকার প্রতিনিধি আব্দুল আজিজ, খোলা কাগজের প্রতিনিধি মানিক হোসেন ও মেহেদী হাসান রানা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ইউপি সদস্য সাগর হোসেন এই সাংবাদিকদের দ্রুত স্থান ত্যাগ করতে বলেন।

কিছুক্ষণ পরে চেয়ারম্যান ফোন করে তাদেরকে গ্রাম থেকে বের না হয়ে যেতে বলেন। এ সময় চেয়ারম্যানের বক্তব্য নিতে চাইলে গোলাম ফারুক সাংবাদিকদের নিজের অফিসে আসতে বলেন। অফিসে পৌঁছানো মাত্রই গোলাম ফারুক সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালান।

অভিযোগের বিষয়ে চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক বলেন, মানবিক কারণে একটি সালিশে গ্রামের প্রধান বর্গের মাধ্যমে ৮ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু এ বিষয়ে আমাকে জড়ানোয় ছোট্ট একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গেছে।

ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশিদুল ইসলাম অভিযোগপ্রাপ্তি স্বীকার করে বলেন, অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

Banner
Side banner
Side banner