উত্তরবঙ্গের প্রাণ কেন্দ্র বগুড়া মাটিডালি বিমান মোরের পশ্চিমে মহাসড়কের পাশে মুহাম্মাদ আলহাজ্ব এম.এম.ডি ইমাম আশরাফ আলীমুল্লহ্ সিদ্দীকী উনার প্রতিষ্ঠিত দরবার।
সারা বাংলাদেশের লক্ষ কোটি ভক্ত মুরিদের হৃদয়ের স্পন্দন হক্বের দা'ওয়াত সিদ্দীক্বিয়া দরবার, সুন্নতী জামে মসজিদে পবিত্র শবে বরাত উদযাপিত হয়।
দরবার শরীফের পীর সাহেব পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও পবিত্র শবে বরাত এই দুইটি অনুষ্ঠান বড় করে পালন করে থাকেন। অন্যান্য জেলা গুলোতে কিছু কিছু ভক্ত মুরিদদের দরবার শরীফে আসার আমন্ত্রণ করেন। এবং বলেন সকল ভক্ত মুরিদ যদি বগুড়াতে দাওয়াত করা হয় তাহলে বগুড়াতে জায়গা দেওয়া সম্ভব হবে না ও নিজ নিজ এলাকার অনুষ্ঠান গুলো পালনে ব্যাঘাত হবে। পবিত্র শবে বরাত বড় করে উদযাপন করেন। এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন হাজার হাজার মানুষ।
দরবারের পীর সাহেব পবিত্র শবে বরাত উদযাপন উপলক্ষে ২ লক্ষ টাকা হাদীয়া দেন দরবারের কমিটিদের কাছে এবং বলেন যদি আরো প্রয়োজন হয় আরো দিব সমস্যা নেই। এতে অন্যান্য ভক্ত মুরিদেরা স্বেচ্ছায় টাকা ও প্রয়োজনীয় দ্রব্য হাদীয়া করেছেন। উক্ত অনুষ্ঠানে তিনটা ষার গরু জবাই করে সকল ভক্ত মুরিদদের ইফতার ও রাত্রী জাগরন কর্মসূচি শেষে সাহরীর ব্যবস্থা করেছেন।
মঙ্গলবার ১৫ শাবান দিবাগত রাত শবে বরাতের অনুষ্ঠানে বাদ আছর হতেই এম.এম.ডি. ইমাম আশরাফ সিদ্দীকী মাদ্রাসার ছাত্র ও অন্যান্য শায়েরগন কাসিদা পরিবেশন করেন। সোমবারর রোযা রাখা সকল মানুষের জন্য ইফতারের আয়োজন করা হয় ইফতার ও নামায শেষে দরবারের নিয়ম অনুযায়ী নামায শেষে যিকির-ফিকির করা হয়। অন্যান্য ওয়ায়েজিনগন মূল্যবান ওয়াজ ফরমান ও মিলাদ শরীফ কিয়াম শরীফ ও এশা নামায ও শবে বরাতের নফল ইবাদত হয় তারপর দরবারে তাশরিফ গ্রহণ করেন দরবার শরীফের পীর সাহেব মুহাম্মাদ এম.এম.ডি ইমাম আশরাফ আলীমুল্লহ্ সিদ্দীকী ও একমাত্র শাহেবজাদা মুহাম্মাদ হুজ্জাতুল্লাহ বিন আশরাফ আলীমুল্লহ্ সিদ্দীকী।
উনাদেরকে ফুলের তোরা ও অন্যান্য উপহার হাদীয়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান বিনিময়ে পীর সাহেব ও শাহেবজাদা হুজুর সবাইকে হাত নাড়িয়ে সংবর্ধনা জানান। এমন সুন্দর মূহুর্তে সকলে আবেগাপ্লুত হয়ে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন।
পীর সাহেব মূল্যবান নসিহত, খালিস তওবা ও সকলের গুনাহ মাফের জন্য, ভালো রিজিকের জন্য ও সুস্থতা কামনা করে এবং পিতা-মাতা সহ বংশের সকলের মাগফেরাত কামনা করে কান্নাবিজরিত মোনাজাত করেন। তারপর সবাইকে সাহরীর ব্যবস্থা করেন পীর সাহেব নিজেই ঘুরে ঘুরে দেখেন সবার মাঝে ঠিক মত খাবার বন্ঠন হচ্ছে কিনা তারপর উনি সাহরী করেন সব শেষে ফজর নামাযের মধ্য দিয়ে উক্ত অনুষ্ঠান সমাপ্ত করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :