গাজীপুরে গ্রীল কেটে বাড়িতে ঢুকে এক কলেজ ছাত্রকে হাত-পা বেঁধে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তারা টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ মালামাল লুট করেছে।
সোমবার (১৩ মার্চ) ভোর রাতে গাজীপুর মহানগরীর সদর থানাধীন দক্ষিণ সালনা এলাকার উত্তর মোল্লা পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম মাহিউস সোনান চৌধুরী (১৯)। তিনি গাজীপুর মহানগরীর সদর থানাধীন ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ সালনা এলাকার উওর মোল্লা পাড়ার মরহুম এ কে এম জালাল চৌধুরীর ছেলে। নিহত সোনান এ বছর গাজীপুর শহরের কাজী আজিম উদ্দিন কলেজ এইচএসসি পাশ করেছে।
নিহতের মা ও স্বজনেরাসহ স্থানীয়রা জানান, গাজীপুর মহানগরীর সদর থানাধীন ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ সালনা এলাকার উওর মোল্লা পাড়ার নিজ বাড়ির দ্বিতীয় তলায় বসবাস করেন মরহুম এ কে এম জালাল চৌধুরীর স্ত্রী ও দু’সন্তান। ভোর রাত ৩টার দিকে আট-১০ জনের সশস্ত্র একদল যুবক ওই বাড়িতে হানা দেয়। তারা দ্বিতীয় তলার জানালার গ্রিল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ঘরের পৃথক কক্ষে জালাল চৌধুরীর স্ত্রী মেহজাবিন (৫৪) ও ছেলে মাহিউস সোনান (১৯) এর হাত-পা, মুখ ও চোখ বেঁধে ফেলে। এ সময় বাঁধা দিলে তারা সোনানকে তার হাত ও পা পেছন দিকে একসাথে বেঁধে গলায় বিছানার চাদরের টুকরো দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে ঘরের আলমারী ভেঙে প্রায় পাঁচ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ ২৫-৩০ হাজার টাকাসহ বিভিন্ন মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) সদর থানার এসআই মো: বায়োজিদ হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
নিহতের মা মেহজাবিন আরো জানান, আমার ছেলের সাথে কারো কোনো শত্রুতা নেই। তবে আমার ছেলের পাওনা টাকা নিয়ে প্রায় পাঁচ-ছয় মাস আগে এলাকার কয়েক ছেলেদের সাথে ঝামেলা হয়েছিল। পরে অবশ্য সেটির মীমাংসাও হয়ে গেছে। ওই ঘটনার জেরে এ খুন হয়েছে কিনা তা বুঝা যাচ্ছে না।
জিএমপির উপকমিশনার (অপরাধ-উত্তর) আবু তোরাব মো: শামসুর রহমান জানান, এটি ডাকাতির বা লুটের ঘটনা, নাকি পূর্ব শত্রুতার জেরে ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জড়িতদের সনাক্ত ও তাদের গ্রেফতারের চেষ্ট চলছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :