নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি রফতানিমুখী পোশাক কারখানায় গণধর্ষণের শিকার হয়ে সহকর্মী ও মালিকপক্ষের কারো কোনো সহযোগিতা না পেয়ে অবশেষে স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে থানায় এসে মামলা করেছেন এক তরুণী। শনিবার দুপুর ১২টায় ফতুল্লা মডেল থানায় এ মামলা দায়ের করেন ওই তরুণী।মামলায় উল্লেখ করা হয়, ফতুল্লার রগুনাথপুর এলাকায় ওই তরুণী ও তার স্বামী একটি বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করেন। তাদের গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলায়। ফতুল্লায় তার স্বামী ভবন নির্মাণের জোগালির কাজ করেন। গত ২ জুন একজনের মাধ্যমে রঘুনাথপুর এলাকায় জেলা পাসপোর্ট অফিসের পেছনে আলিফ গার্মেন্টসের পঞ্চম তলায় সুইং অপারেটর হিসেবে কাজ করা শুরু করেন ওই তরুণী।৪ জুন সকাল সোয়া ৯টার সময় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় গার্মেন্টের ৫ম তলা থেকে নিচে নামার সময় তৃতীয় তলায় একই গার্মেন্টসের শ্রমিক মোল্লা ও তার সঙ্গে আরেকজন তরুণ জোর করে একটি কক্ষে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। পর সকাল পৌনে ১০টায় তাকে ছেড়ে দেয়। এ বিষয়ে ঘটনার পরদিন সহকর্মী লাকির কাছে জানালে সে বিষয়টি চেপে যাওয়ার জন্য বলেন এবং কাউকে কিছু বলার জন্য নিষেধ করেন। এর পরদিন মালিক পক্ষের কাছে বিচার চাইলে তারা কোনো আশ্বাস দেয়নি। এতে ওই তরুণী গার্মেন্টস থেকে চাকরি ছেড়ে দিয়ে ধর্ষণের ঘটনা সম্পর্কে স্বামীকে জানান। এর মধ্যে আবার তরুণীর স্বামীকে ধর্ষক মোল্লা ও তার সহযোগী অজ্ঞাত তরুণ ফোন করে ভয়-ভীতি দেখান। এতে তরুণী শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে স্বামীকে নিয়ে ফতুল্লা থানায় এসে মামলা দায়ের করেন।এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী অফিসার ফতুল্লার হাজীগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর বিল্পব কুমার দত্ত চৌধুরী জানান, অভিযোগ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়েছি। কিন্তু ধর্ষকদের পাওয়া যায়নি। তারা আত্মগোপন করেছেন। তাদের নাম পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। আশা করি দ্রুতই গ্রেফতার করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :