সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীর তেজগাঁও মনিপুরী পাড়ায় সি/৭,বাড়ি নং- ২০/এ/বি, জোরপূর্বক এক প্রবাসীর কেনা ফ্ল্যাট দখলের অভিযোগ ওঠেছে কৃষিবিদ হোসনে আরা (রীনা) এবং তার স্বামী কৃষিবিদ মোঃ ওবায়দুর রহমানের বিরুদ্ধে।
হোসনে আরা (রীনা) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে উপ-পরিচালক, খামারবাড়ি, ঢাকা তে কর্মরত রয়েছেন। দীর্ঘদিন যাবত তিনি জোরপূর্বক প্রবাসীর ঐ ফ্ল্যাটটি অবৈধ ভাবে ভোগ দখল করে আসছে ।অবৈধভাবে জোর করে ফ্ল্যাট দখলের বিষয়ে তার বিরুদ্ধে ভূক্তভোগী প্রবাসীর পক্ষে, মোঃ আবু সায়েদ সিদ্দিকী গত ৮ সেপ্টেম্বর ২২ ইং অভিযোগ নিয়ে পুলিশ হেডকোয়াটার্স, কৃষি মন্ত্রনালয়ের সচিব এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ১৫ সেপ্টেম্বর ২২ ইং তার বিরুদ্ধে দৈনিক যুগান্তর,দৈনিক মুক্তখবর,দৈনিক অপরাধ চক্র সহ বেশ কয়েকটি জাতীয় পত্রিকায় জোর পূর্ব ফ্ল্যাট দখলের অভিযোগ নামক শিরোনাম নিয়ে ঢালাওভাব প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়ে ছিলো।
ভুক্তভোগী ওয়েষ্টার্ণ ভিউ ডেভেলপমেন্ট লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামছুজ্জামান চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, কৃষিবিদ হোসনে আরা (রীনা) দীর্ঘদিন যাবত অবৈধ ভাবে ফ্ল্যাটটি দখল করে রেখেছেন। তাকে অসংখ্যবার ফ্ল্যাটটি খালি করার জন্য বারবার অনুরোধ করা হয় এবং পরবর্তীতে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করা হলে, তিনি ফ্ল্যাটটি নিজের দাবী করেন এবং বিভিন্ন রকম কুরুচিপূর্ণ ও অশালীন ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন এবং সন্ত্রাশী কর্মকান্ড চালানোর হুমকি প্রদান করেন। তিনি মূলত বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক উচ্চ পর্যায়ের ব্যাক্তিত্বের নাম ভাঙ্গিয়ে তার খামারবাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অফিসে এবং উক্ত মাতৃছায়া নামক হোল্ডিংয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন।
ভুক্তভোগী সামছুজ্জামান চৌধুরী সাংবাদিকদের আরো জানান, হোসনে আরা রিনা প্রতিমাসে ভাড়া প্রদান করবেন বলে ফ্ল্যাট টি তে ভাড়াটিয়া হিসেবে উঠেছিলেন কিন্ত পরবর্তীতে বাসা ভাড়া কিংবা সার্ভিস চার্জ প্রদান করতেও রাজী নন তিনি। তার কাছে এগুলোর জন্য বিভিন্ন সময় যাওয়া হলে তিনি বিভিন্ন তাল- বাহানা করতেন।
অন্যের ক্রয়কৃত ফ্ল্যাট জোর করে দখল কেনো করছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে হোসনে আরা রিনা সাংবাদিকদের বলেন,আমার কাছে ফ্ল্যাট ক্রয়ের সকল কাগজপত্র ও তথ্য প্রমান আছে৷
অন্যদিকে ভূক্তভোগী সাংবাদিকদের জানান,হোসনে আরা যা বলছে সম্পূন্ন মিথ্যা বানোয়াট বলছেন বাস্তবিক অর্থে তার কাছে লিগ্যাল কোন ডকুমেন্ট নেই। আমি সাব-কবলা দলিল দেখতে চেয়েছি সেটাও হোসনে আরা আমাকে দেখাতে পারেন নি।হোসনে আরা উল্টো আমাকে বলে
আপনাকে দেখাবো কেন?আপনি কে? এছাড়াও পূর্ববর্তী সময়ে হোসনে আরা সাংবাদিকদের বলেছেন , ফ্ল্যাট মালিক প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীকে জানাক আমার কোনো সমস্যা নেই ।
উক্ত ফ্ল্যাটের বুকিং সূত্রে মালিক মোঃ লোকমান হোসেন এবং কাগজপত্রাদির পাওয়ার বলে অথ্যাৎ আম মোক্তার মূলে মালিক ওয়েষ্টার্ণ ভিউ ডেভেলপমেন্ট লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব সামছুজ্জামান চৌধুরী।
ভুক্তভোগী মোঃ লোকমান হোসেন ফ্ল্যাটটি ওয়েষ্টার্ণ ভিউ ডেভেলপমেন্ট লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামছুজ্জামান চৌধুরী এর মাধ্যমে জনৈক ক্রেতার কাছে যাবতীয় হক হকুক সহ সাফ কবলা দলিল মূলে হস্তান্তর করেছেন। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, অসংখ্যবার অনুরোধ করা হলেও হোসনে আরা (রিনা) ফ্ল্যাটটির দখল বুঝিয়ে দিচ্ছে না। তাই তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ইনটেলিজেন্স সংস্থা এবং কৃষি মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রি মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
এ বিষয়ে মোঃ লোকমান হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, বাসা ভাড়ার নামে ফ্ল্যাটে উঠে এই ভাবে দখলের এমন অযৌক্তিক ঘটনা এর আগে কখনো দেখিনি। একজন সাধারন সরকারী কর্মকর্তার কিভাবে এমন হীন কাজ করেন এবং তিনি কিসের ভিত্তিতে ফ্ল্যাট দখল করে রেখেছেন, তা তদন্তকারী সংগঠন কে খতিয়ে দেখে হোসনে আরা (রিনা) এর বিরুদ্ধে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি।
হোসনে আরা (রিনা) তার পরিবার-পরিজন এবং বন্ধু-বান্ধব সহ এলাকার মানুষকে উক্ত মাতৃছায়া এপার্টমেন্ট এর মালিক পরিচয় প্রদান করেন। যার জন্য তিনি কৌশলে পুরো ছাদ একা দখল করেন এবং ছাদে তার স্বামী কৃষিবিদ মোঃ ওবায়দুর রহমানের নামে জোর করে একটি ছাদ বাগান করেন, এবং বাগানের নামকরন করেন, “ছাদ কৃষি, কিচেন কম্পোষ্ট ও ড্রিপ ইরিগেশন প্রদর্শণী”, যাহাতে বাগান মালিক হিসেবে ওবায়দুর রহমান এর নাম ব্যবহার করেন, যেন মানুষ বুঝতে পারে, পুরো এপার্টমেন্ট টি তার ব্যক্তিগত সম্পত্তি। তাছাড়াও মাতৃছায়া এপার্টমেন্ট এর ছাদ দেখিয়ে কৃষি ব্যাংক থেকে হোসনে আরা (রিনা) এবং তার স্বামী কৃষিবিদ মোঃ ওবায়দুর রহমান লোন গ্রহণ করেন। ওই এপার্টমেন্ট এর অন্যান্য ফ্ল্যাট মালিকগণের ছাদে যাতায়াত বন্ধ করে দেন। তার অবৈধ ক্ষমতা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে অন্যান্য ফ্ল্যাট মালিকদের ভয় ভিতি প্রদর্শন করেন।থানা কিংবা পুলিশি মামলা করতে চাইলে বিভিন্ন প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে হুমকী প্রদান করেন। তাই ফ্ল্যাট মালিকগণ নিরুপায় হয়ে চুপ আছেন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যদি উক্ত মাতৃছায়া হোল্ডিং এর ল্যান্ড-ওনার (জমির মালিক) এবং উক্ত মাতৃছায়া এপার্টমেন্ট এর এসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ গোলাম মোস্তফা সাহেবের সাথে কথা বলেন, তাহলে হোসনে আরা (রিনা) যাবতীয় কু-কীর্তি ও অপকর্ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
এছাড়াও হোসনে আরার (রিনা) বিলাসবহুল জীবন যাপন অন্য কিছুর ইঙ্গিত দেয়। একজন সাধারন সরকারি কর্মকর্তা কিভাবে এত বিলাসী জীবন যাপন করতে পারেন, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে যেন কালসাপ বের হওয়ার মতো অবস্থা।
কৃষিবিদ হোসনে আরার (রীনা) অফিসের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মচারী বলেন, “মেডাম তৎবির বাণিজ্য অতুলনীয়। তিনি বিভিন্ন বড় নামী দামী ব্যক্তির নাম বলে এসব করে থাকেন। কিন্ত বাস্তবে তিনি শূন্য কলসীর মতো। অনেক বড় বড় কথা বলেন বলে, তার নাম শুনলে ভয়ে তটস্ত থাকেন সবাই।পুরো বিষয় টি কে হোসনে আরা মিথ্যা উদ্দ্যোশ্য প্রনোদিত বলে দাবী করেছেন ।
আপনার মতামত লিখুন :