AlokitoBangla
  • ঢাকা শুক্রবার, ০২ জুন, ২০২৩, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
banner

বেসরকারি হাসপাতালের সঠিক ফি নির্ধারণে কাজ শুরু : স্বাস্থ্যমন্ত্রী


FavIcon
আলোকিত বাংলা,প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২২, ০৯:০৬ পিএম
বেসরকারি হাসপাতালের সঠিক ফি নির্ধারণে কাজ শুরু : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বেসরকারি হাসপাতালের সঠিক ফি নির্ধারণে কাজ শুরু : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

দেশের বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে চিকিৎসা সেবার মান অনুযায়ী শ্রেণিভুক্তকরণসহ সঠিক ফি নির্ধারণ করে দিতে ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

বৃহস্পতিবার দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বেসরকারি হাসপাতালের প্রতিনিধিদের সাথে বেসরকারি হাসপাতালে ফি নির্ধারণী সভায় একথা বলেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের বেসরকারি মেডিকেল, ক্লিনিক ও ডায়াগোনস্টিক সেন্টারগুলোর একেকটির  জন্য একেক রকম ফি থাকায় দেশের মানুষের চিকিৎসার ব্যয়ভার বেড়ে গেছে। এক হাসপাতালে ফি ১০ হাজার টাকা হলে, অন্য হাসপাতালে বিল ওঠে ৫০ হাজার টাকা বা এক লাখ টাকা। এতে দেশের সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এটি চলতে পারে না।

তিনি বলেন, আমরা আগেও বেসরকারি হাসপাতালের ফি নির্ধারণ করা নিয়ে সভা করেছি। এবার আমরা বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে ক্যাটাগরাইজড করে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করে দিচ্ছি। মান অনুযায়ী বেসরকারি হাসপাতালগুলো এ, বি, সি, ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হবে। যে হাসপাতালের যে সক্ষমতা আছে সেই সক্ষমতার বাইরে ওই হাসপাতাল চিকিৎসা দিতে পারবে না। যে হাসপাতালের সিজার করার বা হার্টের চিকিৎসা করার যন্ত্রপাতি নাই সে হাসপাতাল ওই চিকিৎসা দেয়া মানেই রোগীর জীবন সঙ্কটাপন্ন করা। এজন্যই হাসপাতালগুলোকে চিকিৎসা সেবার মান অনুযায়ী শ্রেণিভুক্তকরণসহ সঠিক ফি নির্ধারণ করে দিতে ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করে দেয়া হয়েছে।

এর আগে সকালে অন্য একটি বৈঠকে দেশের স্বাস্থ্য সেবায় মানোন্নয়নে প্রাইমারি স্বাস্থ্যসেবা বৃদ্ধির ওপর জোর দিতে সভায় উপস্থিত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তাগিদ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সভায় স্কুল-কলেজের স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধিতে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেবার কথা বলেন মন্ত্রী।স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েদের জন্য প্রাইমারি হেলথ কেয়ার গাইড তৈরি করা হয়েছে বলেও স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসময় উল্লেখ করেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের গ্রামাঞ্চলের পল্লী চিকিৎসকরা যেখানে সেখানে এবং অপ্রয়োজনে এন্টিবায়োটিক বা গ্যাস্টিকের ওষুধ লিখে গ্রামের সাধারণ মানুষের ক্ষতি করছেন। কোনোরকম সরকারি অনুমোদন না নিয়েই গ্রামে অগণিত চিকিৎসক তৈরি হয়ে যাচ্ছে। এটি এভাবে চলতে থাকলে চিকিৎসার পরিবর্তে ভুল চিকিৎসায় ক্ষতিগ্রস্ত হবার আশঙ্কাই বেশি থাকবে। তাই অবিলম্বে সরকারি নিবন্ধন ছাড়া ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করার পাশাপাশি সরকারি অনুমোদন ও সার্টিফিকেটবিহীন গ্রাম্য চিকিৎসকদের চিকিৎসা বন্ধ করে দেয়া হবে।

Banner
Side banner
Side banner