AlokitoBangla
  • ঢাকা শুক্রবার, ০২ জুন, ২০২৩, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
banner

প্রয়োজনে পোল্যান্ডের সমস্ত যুদ্ধবিমান ইউক্রেনকে দেয়া হবে


FavIcon
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
প্রকাশিত: এপ্রিল ৬, ২০২৩, ০৩:৪৮ পিএম
প্রয়োজনে পোল্যান্ডের সমস্ত যুদ্ধবিমান ইউক্রেনকে দেয়া হবে
প্রয়োজনে পোল্যান্ডের সমস্ত যুদ্ধবিমান ইউক্রেনকে দেয়া হবে

পোল্যান্ড সফর করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। বুধবার দেশটির রাজধানী ওয়ারশ-তে পোলিশ প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেই দুদার সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন তিনি। এ বৈঠকেই ইউক্রেনকে নিজেদের সকল মিগ-২৯ বিমান দিয়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দুদা। এ খবর দিয়েছে ইউরো নিউজ।

খবরে জানানো হয়, এটাই যুদ্ধ শুরুর পর পোল্যান্ডে জেলেনস্কির প্রথম আনুষ্ঠানিক সফর। ইউক্রেনের পাইলটরা পশ্চিমা যুদ্ধবিমান চালাতে জানেন না। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর নতুন কোনো যুদ্ধবিমানও কিনেনি দেশটি। ফলে রাশিয়ার অব্যাহত আক্রমণে দেশটির বিমান বাহিনী এখন প্রায় বিমানশূন্য। ফলে ইউক্রেনের আকাশে একতরফা নিয়ন্ত্রণ কায়েম করেছে মস্কো। এই অবস্থার পরিবর্তনে বহুদিন ধরেই মিত্রদের কাছ থেকে যুদ্ধবিমান চাইছে ইউক্রেন। আর তাতেই সাড়া দিয়ে এগিয়ে এসেছে পোল্যান্ড।

পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ইউক্রেনকে প্রথম দিন থেকে সাহায্য করছেন তারা, ভবিষ্যতেও করবেন।

প্রয়োজনে পোল্যান্ডের সমস্ত যুদ্ধবিমান ইউক্রেনকে দেয়া হবে। এর আগেই যদিও তিনি ইউক্রেনকে ১৪টি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সোভিয়েত আমলের সবথেকে কার্যকরি যুদ্ধবিমানগুলোর একটি এই মিগ-২৯। যদিও সোভিয়েত পতনের পর নিজেদের অস্ত্র উন্নত করা বন্ধ রাখেনি রাশিয়া। তাদের কাছে এখন আছে সু-২৭, সু-৩০, সু-৩৩, সু-৩৪ এবং অত্যাধুনিক সু-৩৫। এছাড়া সম্প্রতি সার্ভিসে এসেছে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান সু-৫৭।

ওয়ারশ-তে দুদাকে একাধিকবার ধন্যবাদ জানিয়েছেন জেলেনস্কি। পোল্যান্ডের সাহায্যের কথা স্বীকার করে নিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, যুদ্ধের প্রথম দিন থেকে পোল্যান্ড কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সাহায্য করছে। আমি এর জন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। অন্যদিকে দুদা জানিয়েছেন, অদূর ভবিষ্যতে লিথুয়ানিয়ায় ন্যাটোর বৈঠকে ইউক্রেনের অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য আবেদন করবে পোল্যান্ড।

জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়া আক্রমণ করার পরেই পোল্যান্ড ইউক্রেনের উদ্বাস্তুদের জন্য দরজা খুলে দেয়। এখনো ইউক্রেনের একটি বড় সংখ্যার উদ্বাস্তু পোল্যান্ডে বসবাস করছেন। ভবিষ্যতেও তাদের যাতে কোনো অসুবিধা না হয়, পোল্যান্ডকে তা দেখতে হবে। এখানে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সীমান্তের সীমারেখা দেখা হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। বুধবার পোল্যান্ডের সর্বোচ্চ পুরস্কারও দেওয়া হয় জেলেনস্কিকে।

ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে সামরিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে সহায়তা করে আসছে পোল্যান্ড। ইউক্রেনের প্রয়োজনে সবার আগে পোল্যান্ড দেশটিকে ট্যাংক দেয়ার ঘোষণা দেয়। রাশিয়ার সামরিক অভিযানের পর জেলেনস্কি খুব অল্প কয়েকটি দেশ সফর করেছেন। সবগুলো দেশই ইউক্রেনের পরম মিত্র বলে ধরে নেয়া হয়। যদিও তার যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন, ফ্রান্স এবং বেলজিয়াম সফর ছিল কোনো ঘোষণা ছাড়াই। তবে পোল্যান্ডে তিনি তার স্ত্রীর সঙ্গে আগে ঘোষণা দিয়েই সফর করেছেন।

 

Banner
Side banner

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর

Small Banner
Side banner