AlokitoBangla
  • ঢাকা শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ১৪ আশ্বিন ১৪৩০
banner

চাকরিজীবীকে আটকে রেখে চাঁদা দাবি, ২ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার


FavIcon
আলোকিত বাংলা,প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: মে ২৭, ২০২৩, ০৮:৫০ পিএম
চাকরিজীবীকে আটকে রেখে চাঁদা দাবি, ২ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার
চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেফতার দুই ছাত্রলীগ নেতা

চাঁদা না পেয়ে ঢাকা কলেজের আবাসিক হলে মেহেদী হাসান অয়ন নামে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাকে অপহরণ করে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। সেখান থেকে কৌশলে বেরিয়ে পরে ওই ব্যক্তি নিউমার্কেট থানায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এ মামলায় ঢাকা কলেজের দুই ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতার দুজন হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক জনি হাসান ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক উপ-ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এস এম শফিক।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল গনি সাবু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘জনি ও শফিক নামে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার তদন্তও চলছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’

এদিকে, মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বাদী মেহেদী ‘সিগমাইন্ড’ নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কোয়ালিটি কন্ট্রোলার হিসেবে কর্মরত। প্রতিষ্ঠানটি মার্কেটসহ বিভিন্ন জায়গায় সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ করে থাকে। মামলার আসামিরা ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী পরিচয়ে মেহেদীর কাছে দীর্ঘদিন চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। চাঁদা না দেওয়ায় গত ২৫ মে সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুরের বছিলা ব্রিজ সংলগ্ন পাকা রাস্তার মোড়ে থাকা দুটি সিসি ক্যামেরা, সাতটি পাওয়ার ব্যাংক, পাঁচটি ক্যাবল, দুটি ক্যামেরা স্ট্যান্ড খুলে নিয়ে আসেন আসামিরা।

পরে রাতে সিয়াম ও রমজান নামের ঢাকা কলেজের দুই শিক্ষার্থী মেহেদীর মোবাইলে কল দিয়ে বিষয়টি জানান। এগুলো ফেরত পেতে হলে ঢাকা কলেজে আসতে হবে বলেও জানান তারা। তখন প্রতিষ্ঠানটির স্টাফ মো. তৌকির জিনিসপত্র ফেরত নিতে আসলে তাকে আটকে রেখে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন আসামিরা। টাকা না দিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন তারা।

এজাহারে আরও বলা হয়, আসামিদের কথামতো মেহেদী ঢাকা কলেজে গেলে তাকেও আটক করে মারধর করা হয়। এ সময় সিগমাইন্ডের দুজনের কাছ থেকে টাকা, এটিএম কার্ড ছিনিয়ে নেন আসামিরা। ২৬ মে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আসামি জনি, শফিক এবং আরও একজন তাদের গাউছিয়া মার্কেট মোড়ে রেখে যান। উপস্থিত টহল পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে ভুক্তভোগী মেহেদীকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।

পরে এ ঘটনায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জনকে আসামি করে নিউমার্কেট থানায় মামলা করেন মেহেদী হাসান অয়ন। মামলায় নাম থাকা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত।

মামলার আসামিরা হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক জনি হাসান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক উপক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক এস এম শফিক, ছাত্রলীগকর্মী মো. গোলাপ হোসেন, মোহেরাব হোসেন সিয়াম, অর্নব, মো. রমজান, গোপাল, রাব্বী তালুকদার, বেল্লাল হোসেন, তারিফ, সালমান, রায়হান, মাসুম, ফাহিম, শাহীন।

এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তারা রিসিভ করেননি।

 

 

Banner
Side banner
Side banner