মিরপুর ডি.ও.এইচ.এস সংলগ্ন ও পল্লবী থানার ৪০০ গজের মধ্যে অবস্থিত সা’দ মুছা গ্রুপের ১৫ শতক জমি বেআইনীভাবে দখলের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। স্থানীয় সূত্র এবং লিখিত অভিযোগে জানা যায় অদ্য ১৪ ই সেপ্টেম্বর সকাল ৮ টায় প্রায় ১০০ জনেরও বেশী লোক নিয়ে এ.কে.এম আব্দুস সালাম ও তোফাজ্জল হোসেন ওরফে জামান মাষ্টার সা’দ মুছা গ্রুপের বাউন্ডারী ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে এবং সা’দ মুছা গ্রুপের নিরাপত্তা প্রহরীদেরকে পিটিয়ে বের করে দেয়। অথচ বর্তমানে উক্ত জমিতে ঢাকার বিজ্ঞ দ্বিতীয় যুগ্ম জেলা জজ আদলতে বাদী সা’দ মুছা গ্রুপ কর্তৃক রুজুকৃত দেওয়ানী মোকদ্দমা নং ৪২৪/২০২২ দায়েরপূর্বক নালিশী সম্পত্তির দখল,আকার ও আকৃতি পরিবর্তন সংক্রান্তে আদালত বিগত ৩১/০৮/২০২২ ইং তারিখের আদেশ মোতাবেক বিবাদী একে.এম আব্দুস সালামকে অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার আদেশ দ্বারা বারিত করেছেন। সা’দ মুছা গ্রুপের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা মেজর মোঃ মইনুল হাসান (অবঃ) বলেন , আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সকাল ৯ টায় পল্লবী থানায় গিয়ে উক্ত বিষয়ে অভিযোগ করলেও পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ না নিয়ে বিবাদীকে অবৈধ দখলের মানসে নানা রকম টালবাহানায় কাল ক্ষেপন করে দুপর ১২ টার পরে উক্ত জায়গায় পুলিশ যায় । এই সময়ের মধ্যে বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাজ্ঞার আদেশ অমান্য করে এ.কে.এম আব্দুস সালাম এবং তোফাজ্জল হোসেন ওরফে জামান মাষ্টার গং কতিপয় চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের নিয়ে উক্ত জমিতে টিনের বেড়া ও টিনের ছাউনী নির্মান করে জমি দখলের পাঁয়তারা করে। উল্লেখ্য যে, সা'দ মুছা গ্রুপ ২০০৮ সালে করিম উদ্দিন ভরসার নিকট থেকে উক্ত ২০৮ শতক জমি ক্রয় করে চর্তুদিকে সীমানা প্রাচীর নির্মান করে পরম সুখে ভোগ-দখল করে আসছিল। কিন্তু স্থানীয় ভূমি দূস্যু এ.কে.এম আব্দুস সালাম এবং তোফাজ্জল হোসেন ওরফে জামান মাষ্টার স্থানীয় সন্ত্রাসীদের নিয়ে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে বিভিন্ন উপায়ে উক্ত জমি দখলের পাঁয়তারা করে আসছে। এহেন অবস্থায় আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে অদ্য বুধবার সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে জমিটি দখলের পাঁয়তারা করে। এমতাবস্থায় বাদী সাদ মুছা গ্রুপ বিজ্ঞ আদালতে এ.কে.এম আব্দুস সালামসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার জন্য উপরোক্ত একই আদালতে ভায়োলেশন মিস মোকদ্দমা রুজু করার প্রস্তুতি গ্রহন করেছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করেছেন । কয়েক মাস পূর্বেও উক্ত জায়গা দখল করার জন্য ব্যাপক তান্ডব চালিয়েছিল আব্দুস সালামের ক্যাডার বাহিনী । তখন দেশের বিভিন্ন গনমাধ্যম প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক্স মিডিয়া
সহ বিভিন্ন মিডিয়াতে সংবাদ প্রচার হয় এরপর তারা কিছুদিন চুপ ছিল এখন আবার প্রশাসনের সহযোগিতায় এই জমি দখলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে সেই লক্ষেই আজকের এই দখলের পায়তারা । উক্ত বিষয়ে সালাম কল না ধরলেও পল্লবি থানার ওসি তার পক্ষ নিয়ে বলেন ,এই জমি সা'দ মুসা গ্রুপের কিভাবে হয় ? এসিল্যান্ড জমি মেপে দিয়ে গেছেন ।একতরফা কথা বললে হবেনা,এই জমির বিষয়ে আপনার চেয়ে ভাল আমি জানি ।
আপনার মতামত লিখুন :